চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাতে লাগা আগুনের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ শতাধিক। হতাহতদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিকদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ৮ জন কর্মীও রয়েছেন।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আনিসুর রহমান।
তিনি জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। রোববার (৫ জুন) সকালেও আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কিছুক্ষণ পর পর বিস্ফোরণের কারণে আগুন নেভাতে সমস্যা হচ্ছে। ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’ দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে।
এদিকে ডিপোর ভেতরে থাকা পণ্যভর্তি কনটেইনারগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার তৎপরতায় সহযোগিতার কাজে যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল।
এর আগে শনিবার (৪ জুন) রাত ১১টার দিকে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ফায়ার সার্ভিস। এরপর তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এসময় এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা কেঁপে ওঠে। ভেঙে পড়ে আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ।