কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে কৌশলে পালিয়ে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। এভাবে পালাতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ধরা পড়ছে তারা।
কাজের সন্ধানে তারা ক্যাম্প থেকে বের হয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি প্রায় অশান্ত হয়ে উঠেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো। ক্যাম্পে মাদক বিক্রি এবং মাদকের টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়েও ঘটেছে অনেক মারামারি খুনাখুনি। তাদের এসব কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ, নজরদারি ও রোহিঙ্গাদের নিজের দেশে ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিক তৎপরতাসহ নানা উদ্যোগ হাতে নিয়ে সরকার ব্যাপক তৎপরতাও চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, আটককৃত রোহিঙ্গারা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন কাজের সন্ধানে বের হয়েছিল। এসব রোহিঙ্গা আটকের ক্ষেত্রে বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও উপজেলা স্কাউট দলের সদস্যরা ভূমিকা পালন করেন।
এ নিয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের উখিয়ার সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিকদার জানান, কাঁটাতারের বেড়া ও ক্যাম্পের অভ্যন্তরে এবং সড়কের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্তত ১০টি চেকপোস্ট ফাঁকি দিয়ে কিভাবে রোহিঙ্গারা দেশে ছড়িয়ে যাচ্ছে, বিষয়টি সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। তিনি আরও জানান, সড়কের অসংখ্য চেকপোষ্ট ফাঁকি দিয়ে শত শত রোহিঙ্গা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি নাগরিক সমাজের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। নানা অপরাধসহ মাদকপাচারে জড়িত রোহিঙ্গারা। স্থানীয় শ্রম বাজার এখন রোহিঙ্গাদের দখলে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর নজরদারির আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ৬৪ জন ও আগের দিন গত বুধবার ৩৩ জনসহ দুই দিনে ৯৭ জন রোহিঙ্গা রামু উপজেলা প্রশাসনের হাতে ধরা পড়েছে। এর মধ্যে ইয়াবা পাওয়ায় একজনকে কারাগারে পাঠায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইভাবে গত একমাসে ৪৩৪ জন রোহিঙ্গাকে আটকের পর রোহিঙ্গা শিবিরে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
রামু উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, ক্যাম্প ছেড়ে পালানোর সময় প্রায় প্রতিদিন রোহিঙ্গা ধরা পড়ছে। এভাবে গত ৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ৩০ দিনে ৪৩৪ জন রোহিঙ্গা ধরা পড়েছে।
কুশিয়ারাভিউ২৪ডটকম/৭ আগস্ট, ২০২১/মিলাদ