★ আবাহনীর দারুণ জয়
★ রূপগঞ্জের প্রথম জয়
★ ওল্ড ডিওএইচএসের জয়
বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারে লড়াইটি ছিল ৬ ওভারের। যে লড়াইয়ে প্রাইম দোলেশ্বরের মতো বিধ্বংসী ব্যাটিং উপহার দিতে পারলো না মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।
সাভার বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে দোলেশ্বরের কাছে ২২ রানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। ৬ ওভারে ৭৯ রানের লক্ষ্যকে বেশ বড়ই বলতে হবে। তার মধ্যে ১ রান তুলতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে মোহামেডান।
প্রথম ওভারেই দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন আর শুভাগতহোমকে গোল্ডেন ডাকে সাজঘরের পথ ধরান পেসার শফিউল ইসলাম। ১১ বলে ১৬ রান করে আউট হন নাদিফ চৌধুরী। সাকিব কিছুটা চালিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার ১৪ বলে ২ চার আর ১ ছক্কায় গড়া ২২ রানের ইনিংসটি দলের কোনো কাজে আসেনি। ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে মোহামেডান অধিনায়কও আউট হয়েছে শফিউলের বলে।
এর আগে দোলেশ্বরের প্রাইম ওপেনার ইমরানউজ্জামান আর শামীম হোসেন ঝড়ো উইলোবাজিতে বৃষ্টিভেজা মাঠ গরম করে তুলেন। মোহামেডান বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে ইমরান ও শামীম প্রথম দুই ওভারেই তুলে নেন ৩৫। প্রথম উইকেটে ইমরান আর শামীম মাত্র ৩.৫ ওভারে তুলে দেন ৬৮। ইমরান ১৪ বলে খেলেন ৪১ রানের এক অতিমানবীয় ইনিংস। যার মধ্যে ছিল ৫ বিশাল ছক্কা আর দুটি বাউন্ডারি। আর শামীম নটআউট থাকেন ২৯ রানে (১৬ বলে দুই ছক্কা আর এক বাউন্ডারিতে)।
আবাহনীর দারুণ জয়ঃ ম্যাচ জেতানো ইনিংস আগেও ছিল দুটি। কিন্তু লিগে এবার ফিফটি ছিল না মুশফিকুর রহিমের।
মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে তো রানই ছিল না তেমন। এবার একসঙ্গেই দুজন পেলেন ফিফটির দেখা। তাদের অবিচ্ছিন্ন শতরানের জুটিতে আবাহনী পেল দারুণ এক জয়। ব্যাটিং- বোলিং, দুই ইনিংসেই শুরুটা দুর্দান্ত করেও ধরে রাখতে না পেরে হেরে গেল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে আবাহনী লিমিটেড জিতলো ৭ উইকেটে।
মিরপুর শের-ই- বাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল সৌম্য সরকারের ফিফটিতে গাঞ্জী গ্রুপ ২০ ওভারে তোলে ১৫০ রান। আবাহনী শুরুতে খুঁড়িয়ে এগোলেও পরে দারুণ গতিময়তায় ছুটে জিতে যায় ১২ বল বাকি রেখেই। ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক, ২৮ বলে ৫০ মোসাদ্দেক। দুজনের ১০৫ রানের জুটি এসেছে কেবল ৬০ বলেই। অথচ ম্যাচের শুরুটা ছিল গাজী গ্রুপের দাপুটে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ওভারে দলকে ৭ ওভারেই ৭০ রান এনে দেন দুই ওপেনার আগে ব ছল ৬ মেহেদি হাসান ও সৌম্য। এই জুটিকে ৭৮ রানে রূপগঞ্জ থামান এবারের লিগে প্রথমবার মাঠে নামা আমিনুল করেন স না ইসলাম বিপ্লব। এই লেগ স্পিনারের প্রথম ওভারেই নাঈম ই সপির শুশ করতে গিয়ে বল আকাশে তুলে শর্ট ফাইন লেগে রহমান হরেছে ধরা পড়েন মেহেদি। তার ব্যাট থেকে আসে ৭ চার ও রানে থে রানের ১ ছক্কায় ৩২ বলে ৪৩। সৌম্যর সৌজন্যে গাজীর দিয়ে শা ১ রান ইনিংস ছুটতেই থাকে। ১১.১ ওভারেই স্পর্শ করে পক্ষে সে । প্রথম দলের শতরান। কিন্তু এরপর একের পর এক রান করে ল আর উইকেটের পতনে দিশা হারায় গাজী গ্রুপের ইনিংস। পাশাপাি শেষ ৫ ওভারে গাজী গ্রুপ হারায় ৬ উইকেট, রান ওঠে কেবল ২৫।
আগের ম্যাচে খেলাঘরের কাছে হারের ধাক্কা সামলে আবাহনী ফিরল জয়ে, পাঁচ ম্যাচে তাদের চতুর্থ জয়। শিরোপার আশায় লিগ শুরু করা গাজী গ্রুপ পাঁচ ম্যাচে মারল তিনটিতেই।
রূপগঞ্জের প্রথম জয়ঃ একের পর এক হারের হতাশায় ডুবে ছিল লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। অবশেষে হারের চক্রে আটকে থাকা রূপগঞ্জকে পথ দেখালেন নাবিল সামাদ। শাইনপুকুরের বিরুদ্ধে বল হাতে দুর্দান্ত করলেন তিনি। দুই ওভার বোলিং করে এক রান দিয়ে নিলেন তিনটি উইকেট। তার বোলিংয়ে শাইনপুকুরকে উড়িয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রথম জয়ের স্বাদ পেল রূপগঞ্জ।
মঙ্গলবার ঢাকা টি-টোয়েন্টি প্রিমিয়ার লিগের ২৫তম ম্যাচে শাইনপুকুরকে ১৪ রানে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার উঠেছে নাবিলের হাতেই। এদিন বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচটি ২০ ওভারের বদলে হয় ১২ ওভারে।
তাতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৮১ রান করে রূপগঞ্জ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ বলে ২৪ রান করেন সানজামুল ইসলাম। ১৩ বলে ১৮ রান করেন। নাঈম ইসলাম। ২০ বলে ১৬ রান করেন সাব্বির রহমান। জবাব দিতে নেমে নির্ধারিত ১২ ওভারে ৬৭ রানে থেমে যায় শাইনপুকুর। শুরু থেকেই বোলিং দিয়ে শাইনপুকুরকে চাপে রেখেছে রূপগঞ্জ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেন মাহিদুল। ১২ বলে ১৫ রান করেন রবিউল হক। রূপগঞ্জের পক্ষে নাবিলের পাশাপাশি বল হাতে ভালো করেন মুক্তার আলী। তিন ওভারে ১৪ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন তিনি। ১০ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন সানজামুল ইসলাম।
ওন্ড ডিওএইচএসের জয়ঃ বিকেএসপিতে আনিসুলের ব্যাটে ভর করে জয় পেয়েছে ওল্ড ডিওএইচএস। বিকেএসপিতে বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্যা কমে আসে ১৩ ওভারে। আগে ব্যাট করা ওল্ড ডিওএইচএস ১২১ রানের লক্ষ্য দেয় খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সংস্থাকে। জবাবে ১০৩ রানেই থেমে যায়। খেলাঘর। তাতে ১৬ রানের জয় পায় ওল্ড ডিওএইচএস।
টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ওল্ড ডিওএইচএস আনিসুল ইসলাম ইমনের ঝড়ো ব্যাটিং দারুণ শুরু পায়। তার ৪৪ রানের ইনিংসের পর রায়হান রহমান (৩৭) ও মাহমুদুল হাসান জয়ের (২৯) কল্যাণে নির্ধারিত ১৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১২০ রান সংগ্রহ করে তারা। ২৭ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় আনিসুল ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছেন। রায়হান তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন ২১ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায়। অন্যদিকে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ব্যাটসম্যান জয় ১৪ বলে ২ চার ও ২ ছক্কায় খেলেছেন ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংস।
খেলাঘরের বোলারদের মধ্যে খালেদ আহমেদ ২৪ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন। মিরাজ নেন বাকি উইকেটটি। ১২১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১২ রানে দুই উইকেট হারিয়ে খেই হারিয়ে বসে খেলাঘর। এরপর অধিনায়ক জহুরুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ৫৯ রানের জুটি গড়লেও দলকে জেতাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানে থেমেছে খেলাঘরের ইনিংস। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক জহুরুল।
২৪ বলে ২ চার ৫২ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। এছাড়া ওপেনার ইমতিয়াজের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস। ওল্ডডিওএইচএসের বোলারদের মধ্যে রাকিবুল হাসান সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন।
কুশিয়ারাভিউ২৪ডটকম/৯ জুন,২০২১/নাহিদ