কুশিয়ারা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়া শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
তলিয়ে আছে উপজেলার নিন্মাঞ্চলের বাড়ি-ঘর ও রাস্তাঘাট, মাসজিদ, দোকানপাট, সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ইতোমধ্যে ঘরহারা মানুষেরা গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছে। ফলে বন্যা-কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হয়েছে।
এদিকে বানের পানিতে তলিয়ে গেছে ফেঞ্চুগঞ্জ পুর্ববাজার, থানারোড়, পশ্চিমবাজার, সর্দারকলোনী, হাসপাতাল রোড, এলাকা। এছাড়াও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন, ৫নং উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়নের শাইলকান্দি, সুড়িকান্দি, গয়াসী, ভেলকুনা, সুলতানপুর, মানিককোনসহ আশপাশের এলাকা। আক্রান্ত হয়েছে উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন, মাইজগাও ইউনিয়ন, ঘিলাছড়া ইউনিয়ন ও সদর ইউনিয়ন।
নদীর পানি বেড়ে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্তায় রয়েছে। চরম দুর্দিন কাটছে তাদের। চলাচল, রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এ পর্যন্ত উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে ২৯ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলে মানুষদের জায়গা করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে বন্যা পরিস্থিতিতে সরকারি বরাদ্দ এসেছে সাড়ে ৩ লাখ টাকা ও ২৬ মেট্রিকটন চাল এসেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সীমা শারমিন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির কারনে সিলেট মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের ফেঞ্চুগঞ্জ এলাকার ইলাশপুরে উত্তর কুশিয়ারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে সামন ডুবে গিয়ে মহাসড়কের যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
সিলেটে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী একেএম নিলয় পাশা জানান, কুশিয়ারা নদীর পানি বাড়ার কারণে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কিছু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হতে পারে। তবে তা মারাত্মক কিছু হবে না।