নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার আট অনুসারীর ওপর গুলিবর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন- খালেক মেম্বারের ছেলে বাহার (৩০), হেলাল মেম্বারের ছেলে রুবেল (২৫), সিরাজ মিয়ার ছেলে সবুজ (৩৫), জামাল উদ্দিনের ছেলে ইউসুফ (২৮), বেলাল হোসেনের ছেলে ফিরোজ (২৩), জামাল উদ্দিনের ছেলে ইলিয়াছ (২৮), নুর মিয়ার ছেলে হেলাল মেম্বার (৪০) ও জইদর মিয়ার ছেলে সাদ্দাম (৩০)।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার খালেক মেম্বার ও হেলাল মেম্বারের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
কাদের মির্জার অনুসারী চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল গনি বলেন, ‘আমি কাদের মির্জার অনুসারী। সেজন্য আমাকে হত্যার জন্য রাতের আঁধারে আমার বসতবাড়িতে গুলি, বোমা হামলা করেছেন রাজ্জাক চেয়ারম্যান এবং উড়ির চরের ত্রাস শাহীন বাহিনী। আমি তাদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।’
আবদুল গনি আরও বলেন, আহত গুলিবিদ্ধদেরকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আবদুল গনি দাবি করেন, গত ২৫ জুন (শুক্রবার) অস্ত্রসহ র্যাবের হাতে আটক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেয়ায় রাজ্জাক ও শাহীনের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে চর এলাহী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আহতদের মাথার ও শরীরের যে রক্ত পড়ছে সে রক্ত মোরগের। আমাকে ফাঁসানোর জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন মোরগ জবাই করে রক্ত মাথা ও শরীরে লাগিয়ে নাটক সাজিয়েছে। আমি গণির বাড়িতে হামলা করিনি। উল্টা তার লোকজন আমার বাড়িতে ককটেল হামলা করতে আসছিল।’
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কুশিয়ারাভিউ২৪ডটকম/২ জুলাই,২০২১/শাহিন