ধামরাইয়ে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভায় এমপির উপস্থিতিতে ধামরাই উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তাকে অশ্লীল ও অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেনের বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে ছুটে যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের স্বামী ডা. আলমগীর কবির। পরে উভয় পক্ষকে ডেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন এমপি বেনজীর আহমদ। এতে রাজি হননি সোহানা জেসমিন মুক্তা।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদের মিলনায়তনে মঞ্চের প্রথম সারিতে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এমপির হাত থেকে একটি বই উপহার নিচ্ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা।
এ সময় ফটোসেশনে এগিয়ে যান মোহাদ্দেছ হোসেন। এতে মোহাদ্দেছের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন মুক্তা। এ নিয়ে মুক্তাকে অকথ্য ও অশ্লীল-অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন মোহাদ্দেছ। এতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। এমনকি এমপি বেনজীর আহমদও নীরব ভূমিকা পালন করেন।
সোহানা জেসমিন মুক্তা বলেন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধের অনুষ্ঠানে এমপির উপস্থিতিতে এমন অপমানজনক ও অম্লীল-অশ্রাব্য ভাষা আমাকে শুনতে হবে, কখনো ভাবতে পারিনি। আমি মোহাদ্দেছ হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
মোহাদ্দেছ হোসেন বলেন, প্রতিটি অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে আসছে সোহানা জেসমিন মুক্তা। তাই তার সঙ্গে একটু খারাপ আচরণ করেছি।