করোনা মহামারির কারণে মাহমুদ উস সামাদ-এর সিলেট-৩ আসনের উপ- উপনির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না।
আইনে আসন শূন্য হওয়ার নব্বই দিনের মধ্যে ভোট করার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে তার পরবর্তীতে নব্বই দিনের মধ্যে ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (৩ মে) নির্বাচন কমিশন থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বলে আজ সোমবার জানিয়েছেন ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব আতিয়ার রহমান।
তিনি বলেন, যদিও সাংবিধানিক রীতি অনুযায়ী কোনো সংসদীয় আসন শূন্য হলে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তবে দ্বৈব-দূর্বিপাক জনিত কারণে (কোভিট) প্রধান নির্বাচন কমিশনার মনে করলে সে নির্বাচন আরও ৯০ দিন পিছিয়ে অর্থাৎ মোট ১৮০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত করতে পারেন। এ সুযোগটি গ্রহন করে সিইসি সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচন ৮ জুনের মধ্যে সম্পন্ন না করে ৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। যে এখতিয়ার সংবিধানেই সিইসিকে দেওয়া আছে। সে কারণে এ উপনির্বাচনটির জন্য কমিশন আরও অতিরিক্ত ৯০ দিন সময় পেলো।
এর আগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের নির্বাচনও একই কারণে পিছিয়ে দিয়ে পরবর্তী নব্বই দিন সময় নিয়েছিলেন সিইসি।
আতিয়ার রহমান বলেন, এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে অনুলিপি পাঠানো হয়েছে।
গত ১১ মার্চ সিলেট-৩ আসনে পরপর আ.লীগের দলীয় তিনবারের এমপি মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান। মৃত্যুর পর গত ১৫ মার্চ সংসদ সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
যদিও এর আগে দেশের ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদসহ বেশ কিছু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেও কোভিট পরিস্থিতি বা দ্বৈব দূর্বিপাক জনিত কারণে তা স্থগিত ঘোষণা করেছে ইসি। সেগুলোও পরবর্তি ৯০ দিনের মধ্যে অনুষ্ঠিত করা হবে বলে কমিশন জানিয়েছে।
কুশিয়ারাভিউ২৪ডটকম/সায়েম