ঢাকাই চলচ্চিত্রের বহুল আলোচিত নায়িকা পরীমণিকে আটকের পর উত্তরায় র্যাব সদরদপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বনানীর বাসায় অভিযান পরিচালনা শেষে তাকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। এ সময় তার বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ, আইস ও এলএসডি মাদক উদ্ধার করা হয়।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টার দিকে র্যাবের কয়েকটি গাড়ি পরীমণির বনানীর বাসায় প্রবেশ করে। এসময় জনতার ভিড় ঠেলে পরীমণিকে গাড়িতে তোলা হয়। পরে র্যাব সদরদপ্তরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে বুধবার (৪ আগস্ট) বিকেল চারটার পর পরী মনির বনানীর লেক ভিউ ১৯/এ নম্বর রোডের ১২ নম্বর বাড়িতে অভিযান শুরু করে র্যাব সদর দপ্তর ও র্যাব-১ এর সদস্যরা।
তখন র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে নায়িকা পরি মনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া যাওয়ায় তাকে আটক করে বাহিনীটি।
অভিযানে থাকা র্যাবের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আমরা পরীমণির বাড়ির প্রতিটি রুম তল্লাশি করছি। সেখানে বিপুল পরিমাণ মদ পাওয়া গেছে। তাকে আটক করা হয়েছে। তবে বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসেছিলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।
লাইভে এসে পরীমণি বলেন, ‘শুরু থেকেই আমাকে মেরে ফেলার ভয় পাচ্ছি। আমাকে কেউ মারতে চান। কেউ এসে পুলিশের পরিচয় দিয়ে এসে যদি আমাকে খুন করতে আসেন তাহলে আমি কি করব। তদন্ত করতে এলে আমাকে পরিচয় দিক। তাহলে আমাকে পরিচয় দিতে হবে। যদি সত্যি পুলিশ হয় তাহলে আমি অবশ্যই দরোজা খুলব। ‘
তিনি বলেন, আমার বাসার গেটে এসে তারা দরোজা ধাক্কাচ্ছে। পরিচয় জানতে চাইলে তারা বলছেন, তারা পুলিশ। আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। ওসি হারুণ ভাইকে ফোন করলে তিনি বলেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। দরোজা খুলতে পারো। আমি বলেছি আপনি কনফার্ম না করলে আমি দরোজা খুলব না।
এরআগে গত ১৩ জুন প্রথমে ফেসবুক পোস্টে ও পরে বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি অভিযোগ করেন, ৯ জুন উত্তরার বোট ক্লাবে তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবাসন ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় পরদিন সাভার থানায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন তিনি।
এর পরদিন নাসির উদ্দিন, অমিসহ পাঁচজনকে উত্তরা থেকে আটক করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। অভিযানে ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ মদ-বিয়ার ও ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই দিন রাতেই বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ডিবি পুলিশ। পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি নাসির ১৫ দিন কারাভোগের পর মুক্তি পান।
কুশিয়ারাভিউ২৪ডটকম/৪ আগস্ট, ২০২১/মিলাদ