নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেবে না বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।
গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান এ তথ্য জানান।
কমরেড খালেকুজ্জামান বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশগ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতির দপ্তর বঙ্গভবনে পত্র দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কমরেড খালেকুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা এর আগে দুই বার সংলাপে অংশ নিয়েছি। তখন দলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাবনাগুলো দিয়েছিলাম, সেগুলো এখনো প্রাসঙ্গিক। আগের সেই প্রস্তাবনাগুলোই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে, এখন আবার সংলাপে গিয়ে কী লাভ?
তিনি আরো বলেন, আমাদের দলের সংলাপে অংশগ্রহণের অপারগতার কথা আমরা আজ (গতকাল) মেইলে পাঠিয়েছি। বিকেলে অথবা আগামীকাল (আজ) এটির হার্ড কপি সরাসরি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে।
বাসদের বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সংলাপে অংশগ্রহণের জন্য বঙ্গভবন থেকে গত ১৯ ডিসেম্বর স্মারক নং: ০১,০০,০০০০.০১০.১৭.০০২,২১-৪১ এ প্রেরিত এক পত্রে আগামী রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বঙ্গভবনে বাসদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। ওইদিন দলের ৭ জন প্রতিনিধি নিয়ে মতবিনিময়ে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
খালেকুজ্জামান বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটজনক পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বাসদের পক্ষ থেকে বলা হয়, ২০১২ সালে এবং ২০১৭ সালে তৎকালীন ও বর্তমান রাষ্ট্রপতির সংলাপে অংশ নিয়ে দলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তার কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। ফলে এবারের সংলাপেও অতীতের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটিয়ে পূর্বের প্রস্তাবনাগুলোকে প্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে তা বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগী ভূমিকা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ইসি পুনর্গঠনের বিষয়ে আলোচনার জন্য সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বে বর্তমান ইসির মেয়াদ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। নতুন ইসি গঠনের বিষয়ে আগামী ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে ইসির সঙ্গে প্রায় ৩৮টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মতবিনিময় সভা করবেন রাষ্ট্রপতি।