দীর্ঘদিন স্কুলবন্ধ থাকার পর গত রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে অথচ ঝিনাইদহের শৈলকুপার ধলহরাচন্দ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রাস্তা নির্মাণসামগ্রীতে পাহাড় সমান স্তূপ হয়ে আছে।
ফলে স্কুল খোলার প্রথমদিনেই শিশু শিক্ষার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছে এসব বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষের কোনো নজরদারি নেই।
সরেজমিন দেখা যায়, চেনার উপায় নেই সেই চিরচেনা স্কুল। পুরা খেলার মাঠজুড়েই বালু, ইট, খোয়া আর বিভিন্ন ভারী গাড়ির সমাহার। ভারী যানবাহনে বিভিন্ন জায়গা থেকে নির্মাণসামগ্রী এনে পাহাড়ের মতো উঁচু করে রাখা হয়েছে আবার এসব নির্মাণসামগ্রী নিয়ে সড়কে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
একদিকে স্কুলমাঠে চলাচলের যেমন অসুবিধা আবার চরম ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে আসছে শিশুরা। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কবলে পরতে পারে স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
ধলহরাচন্দ্র প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন সুলতানা জানান, তার স্কুলে শিক্ষার্থী রয়েছে প্রায় দেড় শতাধিক। করোনার কারণে স্কুলবন্ধ থাকায় দখলে চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ঘটনাটি তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন বলে জানান।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইসরাইল হোসেন জানান, স্কুল ক্যাম্পাসে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণসামগ্রী রাখার ঘটনাটি তিনি ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সরিয়ে নেয়ার জন্য জানিয়েছেন। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দ্রুত সরিয়ে নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিজানুর রহমান মাসুম বলেন, তিনি ঢাকাতে আছেন স্কুলে মালামাল রাখার ব্যাপারে কিছু জানেন না।
ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপথ বিভাগের শেখপাড়া ভায়া শৈলকুপা ভায়া লাঙ্গলবাধ ২৬ কিলোমিটার সড়কের নির্মাণের কার্যাদেশ পান মিজানুর রহমান অ্যান্ড মাইনুদ্দিন বাঁশি জেভি। সড়কটির নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে শত কোটি টাকা।