হাজার হাজার তরুন তরুণীদের স্বপ্ন দেখানোর পাশাপাশি উদ্যোক্তা হওয়ার পিছনে সহায়তা করতে ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স প্লাটফর্ম।
ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স প্লাটফর্ম হচ্ছে ফেইসবুক কতৃক পাবলিক গ্রুপ। এ গ্রুপে যুক্ত আছে হাজার হাজার তরুন তরুনী। বর্তমানে ১ লক্ষ পরিবারের সদস্য অতিক্রম করেছে। তরুন তরুনীরা নিজস্ব মেধা আর পরিশ্রম কাজ লাগিয়ে তৈরি করছে মানুষের বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনী সামগ্রী সহ মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পন্য সামগ্রী। পন্য সামগ্রী তৈরি করে ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স পাবলিক গ্রুপে বিজ্ঞাপন দেয়।বিজ্ঞাপন দেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় পন্য কেনার জন্য মতামত পোষন করে থাকে। মানুষের মতামতের উপর নির্ভর করে পন্য পৌঁছে দেওয়া হয় তাদের গন্তব্য স্থলে। এ ভাব ক্ষুদ্র আয় করছে তরুন তরুনীরা। এ আয়ের মাধ্যমে কেউ বা জীবিকা নির্বাহ করছে আবার কেউ বা তাদের পড়ালেখা গতি স্বাভাবিক রেখেছে।আবার কেউ বা নিজের পাশাপাশি পরিবারের চাহিদা ও পূরন করছে।
ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স এ কাজ করে নিজের জীবনকে করছে স্বাভাবিক। এমনই একজন তরুন উদ্দ্যোক্তার কথা বলবো।
নামঃ আরিফ হোসাইন,জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে কুমিল্লা অজিতগুহ কলেজের বাংলা ২য় বর্ষের ছাত্র থাকার পাশাপাশি কাজ করছে ভিক্টোরিয়া ই-কমার্সে। গ্রামের বাড়ি হচ্ছে, করপাতি,জোড্ডা ইউনিয়ন, নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
তরুন উদ্দ্যোক্তা আরিফ হোসাইন জানায়,করোনায় চাচার চাকুরীর সমস্যা হওয়ায় আমরা শহর ছেড়ে বাড়ীতে চলে যাই,আমি বাবার সাথে কৃষি কাজ এবং গরুর খামার তৈরি করি। কিন্তুু ২ টাতে আমাদের আশা অনুযায়ী ফল পায় নাই। তারপর আমার জেঠাতো ভাই লন্ডন থেকে একটা ব্লাক রাইস এর ছবি পাঠালো ও ভিডিও পাঠালো অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাইলাম না। দেশ সামান্য স্বাভাবিক হওয়ার সাথে সাথে আমরা আগষ্ট মাসে শহরে এসে পড়ি।
আগষ্টের শেষের দিকে আমার পেইজবুকে ভিক্টোরিয়া ই-কমার্স প্লাটফর্ম সামনে আসে,তখন আমি জুক্ত হই।
এখানে সবাই আমার মতো ছাত্র, একেকজনে একেকটা নিয়ে কাজ করে।
তখন তরুণ উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা জাগলো ব্লাক রাইস নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা পোষন করলাম।তিবরানী ম্যামের সহযোগিতার মাধ্যমে আমি কালো ধানের বীজ সংগ্রহ করি। ফসল ফলানোর শেষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ২০০ টাকা প্রতি কেজি বিক্রি করি।এগুলোর সাথে সরিষার তৈল,লাল চিনি, মধু এবং নিরাপদ কিছু খাদ্য নিয়ে ৮ মাসে ২ লক্ষ টাকার মতো মালামাল বিক্রি করি।
এখন আমার মোট ৪ একর কৃষি জমিতে বিভিন্ন রকমের ধান আছে। এর মধ্যে কালো চাউল,বেগুনি ধান,বঙ্গবন্ধু বা মুজিব ধান,হীরা -১৯,হীরা-২,ময়না,মিনিকেট,বিন্নি ধান ইত্যাদি।।
আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা- কৃষি উদ্যোক্তা ও কৃষিকে নিয়ে গবেষণা করবো। বাংলাদেশের কৃষিকে সারাবিশ্বের সামনে তুলে ধরবো ইনশাআল্লাহ।
দেশের ৩-৫ কোটি লোক ডায়বেটিস এবং ক্যান্সার রোগে ভুগছে, তাদের প্রত্যেকের হাতে আগামী ২-১ বছরের মধ্যে ব্লাক রাইস তুলে দিতে চাই। ব্লাক রাইস ডায়বেটিস, ক্যান্সার সহ ২০ রোগের জন্য উপকারী।
শিক্ষিত,বেকার যুবকদের মতো চাকুরীর পিছনে না ঘুরে নিজেকে নিজে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারবো।
আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন