নারায়ণগঞ্জের মৌচাকের দশতলা এলাকায় পাঁচটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে হরতাল সমর্থকরা। এসময় পিকেটাররা তিনটি ট্রাক, একটি বাস ও একটি মাইক্রোবাসে আগুন ধরিয়ে দেয়। রোববার (২৮ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় খবর সংগ্রহে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেন তারা।
এর আগে দুপুর ১২টার দিকে সানারপাড় থেকে কাঁচপুর সেতুর দিকে কিছু গাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে দেয় পুলিশ। দশতলার সামনে আসার পর গাড়িগুলো আটকে দেয় পিকেটাররা। এরপর পাঁচটি গাড়িতে আগুন দেয়া হয়।
এদিন সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় ও আগুন নিভিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করে। তবে এর কিছুক্ষণ পর আবারো অশান্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এক পর্যায়ে সড়কের যানবাহন ভাঙচুর ও আগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হরতালের সমর্থনে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এরপর হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় অবস্থান নেয় তারা। এ সময় মহাসড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন ধরিয়ে এবং রাস্তায় ইট বিছিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিআইটি, চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা।
সূত্র: আমার সংবাদ